পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এক এক রকমের। প্রত্যেকে এক রকম চিন্তাভাবনা নিয়ে চলে না। ব্যক্তিভেদে চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়। তাই জন্যই পৃথিবীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। যদি সকল মানুষের চিন্তা ভাবনা নিয়ে চলত তাহলে ভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে কেউ বিশ্বাসই হতো না। বলাবাহুল্য আমি সার্বজনীন থেকে একটু ভিন্ন। সকলে যে কোন ঘটনা বা পরিবেশকে যে কোন থেকে দেখে আমি তার থেকে একটু অন্যভাবে ভাবার চেষ্টা করি। এটা প্রশংসা না নিন্দা আমি নিজেই জানিনা কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব পজিটিভ। মনে এক মুখে আরেক বলতে পারিনা । যে রং যে রুপ নিয়ে আমি মন থেকে দেখি সেই রঙ বা রূপ আমার চোখেও। তাই বলতে বাধা নেই , “I’m everything different from other”. নিউজ খুলে শিরোনামে চর্চায় সেলেবদের ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার, বেডরুম থেকে টয়লেটে সব সময় নিউজ এর হেডলাইন এ উঠে আসে। উঠে আসে তাদের ইমোশন থেকে এক্সক্লিউশন। যা আমাদের হট টপিক। পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার আছে নিজের মতো করে। কিন্তু সমালোচনা দৃষ্টিভঙ্গিতে আমাদের সমাজের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সেলেব মানেই পার্সোনাল প্রপারিটি নয়।
সেলেবদের জায়গায় যদি নিজেদের বসিয়ে দেখিতো কেমন হয় ? আমি ব্যক্তিগতভাবে কারো পক্ষ নিয়ে বলছি না। কিন্তু ব্যাপারটা সত্যিই এটা ভাববার বিষয়। যে কোন মানুষ যে কোন আলাদা বিষয়ের উপর বিখ্যাত হোক না কেন তার ব্যক্তিগত প্রতিভা ইন্টেলিজেন্সি এর জন্য খ্যাতি পান। তাদের বিখ্যাত হবার রাস্তায় আমরা কোনভাবেই সাহায্যের হাত কিন্তু বাড়িয়ে দেই না। নিজস্ব তার দরুন খ্যাতি অর্জন করে অথচ খ্যাতি পাবার পর তারা কেন পাবলিক প্রপার্টি হবে? একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি আমরা উন্নত পরিবহন থেকে প্রযুক্তি কোন অভাব আমাদের জীবনে নেই। যদি থেকে থাকে সেটা হল উন্নত মানসিকতার অভাব । প্রত্যেকে আমরা যদি তাই পিএনপিসি নিয়ে পড়ে না থেকে নিজস্ব ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তাহলে সামাজিক মূল্যবোধের বাড়বে বৈকি কমবে না। তাই এবার ভাবনা টা কে একটু অন্যভাবে ভাবার সময় এসেছে।
জলসংকট ও জলের গুরুত্বের ওপর তৈরী বুন্দে ব্লু ডায়মন্ড সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে কিষানগড়ের আদিবাসী অঞ্চলে। আর এই সিনেমার শুটিং দেখতে কাতারে কাতারে গ্রামের মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শুটিং স্পটে। ডাইরেক্টর জেনি এবং দীপায়নের নির্দেশনায় কিষানগড়ের পূর্বা এবং রায়পুরা গ্রামে এই সিনেমার শুটিং চলছে। এই সিনেমার মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বুন্দেলখন্ডের জনপ্রিয় শিল্পী গোবিন্দ নামদেব। তাছাড়াও ওনার সাথে রোহিত চৌধুরী, সমীক্ষা ভাটনাগর, বিদিতা বেগ প্রমুখ শিল্পী এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন।তবে কিছু স্থানীয় যুবকরাও এই সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন।
এই সিনেমায় দেখানো হচ্ছে কিষানগড়ের আদিবাসী অঞ্চলের পাঠারি ক্ষেত্রে প্রতি বছর জলসংকটের পরিস্থিতি কিভাবে বেড়েই চলেছে। এলাকাবাসীর সচেতনতার অভাবে পরিবেশ রক্ষার সাথে সাথে বৃষ্টির জল ধরে রাখার চেষ্টাও করতে পারছেন না, যার ফলে দিনের পর দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সিনেমার ডাইরেক্টর জেনি জানিয়েছেন এই সিনেমার মাধ্যমে আদিবাসী অঞ্চলের মানুষজনের জলের সমস্যার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে। সিনেমার শুটিংয়ের দিন গুলিতে উৎসাহিত মানুষের ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
কলকাতা: টলিউড সিরিয়াল অভিনেত্রী পল্লবী দে কে দক্ষিণ কলকাতায় তার ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিখ্যাত অভিনেত্রী পল্লবী দে কলকাতার একটি আবাসিক ভবনের 2য় তলায় একটি অ্যাপার্টমেন্টের ভিতরে বিছানার ওপরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গড়ফা থানার অন্তর্গত কলকাতার রায় লেন এলাকায় । দাবি অনুসারে তার বয়ফ্রেন্ড প্রথমে তার ঝুলন্ত দেহ লক্ষ্য করে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া বজায় রাখার জন্য এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীরে কোনও বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গত ২৪ এপ্রিল গাঙ্গুলীপুকুর এলাকায় এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন পল্লবী দে। তিনি সাগ্নিক চক্রবর্তী নামে তার প্রেমিকের সঙ্গে থাকতেন। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে পোস্টমর্টেম করা হচ্ছে।
প্রতিদিন সূর্য ওঠে আবার প্রাকৃতিক নিয়মে অস্ত ও যায়। এই সূর্য উদয় হওয়া থেকে পরের দিন আবার উদয় হওয়া পর্যন্ত যা কিছু ঘটে তার বেশির ভাগটাই নির্ধারিত। যার উপর আমাদের কোনো হাত থাকে না। তার মধ্যে একটি হলো জন্ম এবং আর একটি মৃত্যু। দিনের পর দিন আসে। আজ তেমনই একটা দিন যেদিন ঈশ্বর রুপী একজন মহান সুর সম্রাজ্ঞী প্রয়াত হয়েছেন । তাঁর নামের পাশে যাই লেখা হোক না কেন, যতটাই লেখা হোক না কেন , ততটাই কম পড়বে। কম পড়বে তাকে যে নামেই সম্মান জানানো হোক না কেন। কথায় বলে বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকরকে বাগদেবী সরস্বতী নামে অভিহিত করা হয়। তার সুর কন্ঠে নাকি সরস্বতী স্বয়ং বিরাজমান। আজ হয়তো সত্যি প্রমাণ হলো । কাল বাগদেবী সরস্বতীর বন্দনা ছিল। আজ বিসর্জন। সরস্বতী মায়ের বিসর্জন সাথে বিশিষ্ট সঙ্গীত সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকার নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন। কোথায় যেন একটা ছন্দ পতন ঘটল। সারা জীবন ধরেই উনি সঙ্গীত চর্চা নিয়ে জীবন কাটিয়েছেন। খুব ছোটবেলা থেকেই উনি এই জগতের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রকৃতপক্ষে গান ছিল ওনার জীবন। 1829 সালের 28 শে সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর এ জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম গান রেকর্ড হয় পাঁচ বছর বয়সেই । সেই থেকেই পথ চলা শুরু। পথ চলতে চলতে কখনো আর তাঁকে পেছনে তাকাতে হয়নি। বড়ো হবার পর 1945 সালে তাঁর প্রথম গান হলেও 1948 সালে তাঁর গাওয়া গান সারা ফেলে দেয় ভারত বর্ষ জুড়ে। তবে সারা জীবন ধরে তিনি একাই জীবন কাটান এবং পরিবারের বড়ো মেয়ে হবার দরুণ সমস্ত দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। সাথে নম্বর ও। ওনাকে দেখলেই প্রত্যেকের ওনার প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত করতে ভালো লাগত। গত কয়েক বছর ধরেই তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন আর এর জন্য তিনি বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হলো না এরপর ঘনিয়ে এলো সেদিন। যেদিন তিনি কোভিড আক্রান্ত হলেন এবং হাসপাতালেও ভর্তি হন। তারপর আজ , 6 ফেব্রুয়ারি। দুপুর বারোটার সময় তিনি 92 বছর বয়সে পরলোক গমন করেন । চলে গেলেন নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে।
শিল্পীদের মৃত্যু হয় না শুধুমাত্র জীবনধারা সমাপ্তি ঘটে। এরকম একজন মহান সঙ্গীত আরোহী সম্পর্কে বা তার কার্যকলাপ সম্পর্কে যাই লিখব কম পড়ে যাবে। ইতিহাসখ্যাত কার্যকলাপ তাঁর। এরকম সুর এরকম কণ্ঠ সাথে মানুষ হিসেবে এতোটা পারফেক্ট খুব কম দেখা যায়। এক কথায় একেবারেই তিনি ব্যতিক্রমী সংগীত আরোহী। তিনি গান গেয়ে যে প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন সাথে আমাদেরকে গানের মাধ্যমে বিশেষ উপহার দিয়েছেন তা কল্পনার অতীত। প্রায় 13 হাজারের বেশি গান তিনি রেকর্ড করেন। এমনই একজন সঙ্গীত আরোহী তথা সুর সম্রাজ্ঞীর গান শুনলে মনে হয় যেন আমরা সত্যিই গানের মধ্যে হারিয়ে গেছি । এইসব কারণে তাকে কুইন অফ মেলোডি, ভয়েস অফ নেশনস, কুইন অফ মিলেনিয়াম আখ্যা দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় তিনি পদ্মভূষণ, থেকে দাদাসাহেব ফালকে, রাজীব গান্ধী অ্যাওয়াড সাথে ভারতরত্ন সন্মান পান। তবে সত্যিই এরকম একজন সঙ্গীত আরোহীর আজ মৃত্যু হয়নি। কারণ উনি প্রতিমুহূর্তে ওনার গানের মাধ্যমে বেঁচে আছেন প্রতিটা মানুষের মনে এবং থাকবেন। যতদিন পৃথিবীতে সূর্য-চন্দ্র থাকবে যতদিন মানুষের অস্তিত্ব থাকবে। ঠিক ততদিন।