“আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়।” হ্যাঁ এটা সেই বাংলা যে বাংলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে বিদ্যাসাগরের জন্ম গ্ৰহন করেছিলেন। এটা সেই বাংলা যে বাংলার নাম মহাভারতে উল্লেখিত আছে। এটা সেই বাংলা যেই বাংলার রাজা সমুদ্র সেন-র নাম আজও ইতিহাসের পাতায় জ্বল জ্বল করে। আমি সেই বাংলার কথা বলছি যে বাংলা ভাষা সাহিত্য ভান্ডার বিচিত্র সম্পদে পরিপূর্ণ। কি নেই এখানে? চির সবুজে মোরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে বাংলার মিষ্টি মধুর ভাষা সাহিত্য সবকিছুই বিদ্যমান ।তাইতো কবি জীবনানন্দ দাশ বারংবার ফিরে আসতে চেয়েছেন এই বাংলার বুকে, বাংলার মাঠে- ঘাটে, প্রকৃতির প্রাঙ্গণে। এবং তার জন্যই মাইকেল মধুসূদন দত্ত আক্ষেপ করে বাংলাকে নিয়ে ‘বঙ্গভাষা’ কবিতাটি লিখেছিলেন। তা আজও মনের মনিকোঠায় দাগ কাটে ।
“হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে অবহেলা করি।”
আসলে আমরা কেবলই স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন। বাংলার মতো জন্মভূমিতে থেকেও হেলায় হারাই সবকিছু। মরুভূমির মরীচিকার মত পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে নকল করে নিজেদের সৌন্দর্য বৈচিত্র তাকে উপেক্ষা করে মন ছুটে যায় অন্য কিছুর খোঁজে।।
এই এত কিছুর পরও যেগুলো বাকি রয়ে গেল সেগুলোর কথা আবার চোখ বন্ধ করেও সকলেই জানি। শুধু জানি না সঙ্গে স্বাদ ও গ্রহণ করি প্রতি মুহূর্তে। বিভোর হয়ে যায় সেই ছন্দে । তাইতো বাংলা মানে সবুজে ভরা ধান ক্ষেত, আঁকাবাঁকা নদী মেঠোপথ, হাওড়া ব্রিজ, রসগোল্লা-মিষ্টি দই , গঙ্গা নদী আর সাহিত্যে তথ্যর মোড়া ভান্ডার আর বাংলা মানে দূর্গোৎসব।
বাঙালি
পৃথিবী বিখ্যাত জাতির নিরিখে বাঙালি একটি শ্রেষ্ঠ জাতি একথা প্রমান করার উর্ধে। সাহিত্য থেকে সংগীত জগত বিজ্ঞান থেকে রাষ্ট্রপতি এবং ক্রীড়াজগতের বারংবার বাঙালির নাম উঠে এসেছে। উঠে এসেছে তাদের প্রতিভার কথা তাদের অতুলনীয় কৃত্বির কথা । হ্যাঁ আমি সেই বাঙালি জাতির কথা বলছি, যে জাতির আওতায় রবীন্দ্রনাথ থেকে বিবেকানন্দ, সুভাষচন্দ্র থেকে বিজ্ঞানী মেঘনাথ সাহা পরিচালক সত্যজিৎ রায় ও সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমার কে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম উল্লিখিত। উল্লিখিত মহানায়ক উত্তমকুমারের নাম ও।
তাই আজও পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের মানুষজনই হোক না কেন বাঙালি নামটা শুনলে একটু বেশি পরিমাণ শ্রদ্ধা ও সম্মানের জায়গা টা বাড়িয়ে দেয়। কারণ বিবেক-মনুষ্যত্ব শ্রদ্ধা ভক্তি এবং সম্মান করার প্রবণতা কার্যত আমরা বাঙ্গালীরা সকল কে শিখিয়েছে এবং আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে বাঙালি তেমনই একটি জাতি যা নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত গর্ব অনুভব করি এটা যেমন সত্যি তেমন কাজেও সেটা উল্লেখিত। তাই আজও আমরা মনেপ্রাণে বুকে হাত দিয়ে গর্ব অনুভব করে বলতে পারি-
“আমরা গর্বিত কারণ আমরা বাঙালি।”