পিরামিড বরাবরই মানুষকে দিয়েছে রহস্যের ছোঁয়া। প্রাচীন এই কাঠামোতে প্রযুক্তির উৎকর্ষ এখনো চমৎকৃত করে মানুষকে। দিনে দিনে যত এর রহস্য উন্মোচিত হয়েছে তত বেশি মানুষ এর রহস্যের জালে আটকে পড়েছে। মিসরে অবস্থিত গিজার পিরামিড বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের একটি। একে অনেক সময় খুফুর পিরামিড বা কিওপসের পিরামিড নামেও ডাকা হয়। ফারাও খুফুর সম্মানে গিজার পিরামিড কমপ্লেক্সে আছে দুটো সমাধিস্থান। সমাধি দুটোর একটি নীলনদের ধারে ও আরেকটি পিরামিড সংলগ্ন। খুফুর স্ত্রীদের সমাধির ওপর বানানো তিনটি ছোট পিরামিড ও নিম্নবর্গীয় মানুষদের সমাধিস্থান হিসেবে পরিচিত মাসতাবা। ১৮৭৭ সালে জোসেফ সেইজ একটি দারুণ জিনিস আবিষ্কার করেন। তিনি খুঁজে পান গিজার পিরামিডটি অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের দীর্ঘতম রেখার ছেদবিন্দুতে অবস্থিত। যার অর্থ হচ্ছে গিজার পিরামিডটি পৃথিবীর সমতলের কেন্দ্রে অবস্থিত।
নির্মাণশৈলী
মিসরে গিজার পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে ৪৫০০ বছর আগে। ১৯ শতক পর্যন্ত পিরামিডকে উচ্চতম মানুষের তৈরি উচ্চতম স্থাপত্য হিসেবে ধরা হতো। ৩৮০০ বছর ধরে পৃথিবীর প্রাচীন উচ্চতম কাঠামো হিসেবে সগৌরবে মাথা উঁচু করে আছে এটি। এখন পর্যন্ত প্রাচীন মিসরীয়দের পিরামিডের মতো বিশাল কিছু তৈরির স্থাপত্যজ্ঞান, নির্মাণ পদ্ধতি ও দক্ষতা দেখলে বিস্মিত হতে হয়। বিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পিরামিডের সংখ্যাও অনেক। প্রায় পাঁচ হাজারেরও বেশি পিরামিড পৃথিবীর প্রাচীন স্থাপত্যজ্ঞানের চমৎকার উদাহরণ নিয়ে এখনো টিকে আছে। যদিও পিরামিড তৈরির আসল কারণ এখনো পর্যন্ত অজানা রয়ে গেছে। কেন পিরামিড তৈরি হয়েছিল এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে রয়েছে মতভেদ। পিরামিড তৈরির সময় অনেক ক্ষেত্রে ১০ টনের বেশি ওজনের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। একের পর এক বিশাল পাথর স্তরে স্তরে সাজিয়ে বানানো হয়েছে পিরামিড। কোনো উন্নত যন্ত্র ছাড়াই কীভাবে এই ভারী পাথরগুলো এত ওপরে ওঠানো হলো সেটি আজও এক বিস্ময়। তাদের অভূতপূর্ব এই যন্ত্রকৌশল সম্পর্কে গবেষকরা এখনো গবেষণা করে যাচ্ছেন। পিরামিডের ভেতরে রয়েছে জালিকাকার সরু রাস্তা। প্রতিটি চেম্বার ও সরু রাস্তা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। এই সরু টানেলগুলো হাজার হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য ও নিদর্শনের জ্বলজ্বলে সাক্ষী। যদিও মিসর কর্র্তৃপক্ষ খনন করে পিরামিডের ভেতর থেকে অনেক কিছুই উদ্ধার করেছে। তাই প্রাচীন ঐতিহ্যের অনেক খুঁটিনাটি তথ্য সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি।
পিরামিডের উদ্ভাবক হিসেবে খ্যাত ইমহোটাপ। তিনি একাধারে ছিলেন চিকিৎসক, জ্যোতির্বিদ, তৎকালীন ধর্মগুরু। পিরামিডের ভেতরে তার প্রতিমূর্তি পাওয়া যায়। গিজার পিরামিডের প্রধান কক্ষের ভেতরে পাওয়া যায় একটি বৃহদাকৃতির সিন্দুক। প্রধান কক্ষের সরু রাস্তা ধরে এই সিন্দুক বয়ে নিয়ে যাওয়া প্রায় দুঃসাধ্য ব্যাপার। এ থেকে বোঝা যায় প্রধান সিন্দুককে কেন্দ্র করেই পিরামিডটি বানানো হয়েছে। উত্তর-দক্ষিণ দিকে মুখ করে পিরামিড বানানো হয়েছিল। উত্তর-দক্ষিণের এই মান ঠিক রাখা হয়েছিল সপ্তর্ষিমণ্ডল নক্ষত্রের সারির দিকে লক্ষ রেখে। সমাধিগুলো বানানোর সময় লক্ষ রাখা হয়েছে তা যেন উত্তর-দক্ষিণ থেকে ০.০৫ ডিগ্রি হেলে থাকে। তখনকার দিনে জটিল সব যন্ত্রপাতি ছাড়াই কী দারুণ দক্ষতায় এইরকম সূক্ষ্মতর পরিমাপ করা সম্ভব তাই অবাক করার মতো।
পৃথিবীর সুপ্রাচীন এই নির্মাণ নিয়ে রয়েছে একটি আরব প্রবাদ ‘মানুষ সময়কে ভয় পায়, আর সময় ভয় পায় পিরামিডকে’। কোন ধরনের আঠা দিয়ে ওই দানবাকৃতির পাথরগুলোকে হাজার বছর ধরে একসঙ্গে আটকে রাখা সম্ভব তা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। বছরের পর বছর ধরে চলা এই গবেষণায় প্রায় কিছুই জানা যায়নি এ সম্বন্ধে।
প্রতিটি পিরামিডেই হায়ারোগ্লিফিক্স দেখা যায়। গিজায় অবস্থিত পিরামিডে হায়ারোগ্লিফিক্সের খোঁজ পাননি গবেষকরা। পরে রোবটের সাহায্যে ২০১১ সালে পিরামিডের ভেতরে অবস্থিত গোপন চেম্বার থেকে হায়ারোগ্লিফিক্স খুঁজে পাওয়া যায়। পিরামিডে প্রাপ্ত হায়েরোগ্লিফিক্স লিপিকেই পৃথিবীর প্রাচীনতম লিখিত ধর্মীয় অনুশাসন বলে ধরা হয়। এই লিপি মিসরীয় সভ্যতার মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সংক্রান্ত সাহিত্যেরও প্রধান উৎস। বিশেষ করে সাকারার পিরামিডের (নির্মাণকাল খ্রিস্টপূর্ব ২৬১৩-২১৮১) গায়ে এবং এর ভেতরকার সারকোফাগিতে সব থেকে বেশি লিপি পাওয়া যায়। এই লিপি মূলত মৃত ফারাওয়ের উদ্দেশ্যে খোদাই করা হয়েছিল। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ও তার পরে ব্যবহারের জন্য নানা রকমের মন্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায় সেখানে। তারা বিশ্বাস করত, এই মন্ত্র উচ্চারণ করেই ফারাওয়ের আত্মা ইহলোক ছেড়ে পরলোকে পৌঁছাবে। এছাড়া এসব লিপিতে একজন ফারাওয়ের যাপিত জীবন সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য পাওয়া যায়। মিসরীয় সভ্যতায় রাষ্ট্র, সমাজ ও ধর্মীয় ক্ষেত্রে একজন ফারাও কী কী ভূমিকায় ছিলেন বা তার চরিত্র কেমন ছিল তা বেশ স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়াও নানা দেবতার নাম করে, আত্মার পরলোকপ্রাপ্তিতে তাদের ভূমিকার কথা বলা আছে। দুইশোর বেশি ছোট-বড় দেবদেবীর উল্লেখ আছে এই লিপিতে। সেখানে যেমন পাওয়া যায় ওসিরিস বা আইসিসের মতো প্রধান ও বিখ্যাত দেবদেবী, তেমনি আছে নেকবেট বা বেইস-এর মতো অপরিচিত দেবতাও।
এই লিপিতে পুরো মিসরীয় পুরাণ নেই। শুধু আছে পুরাণের নানা উল্লেখযোগ্য ঘটনার বর্ণনা। কোথাও দেখানো আছে জ্ঞানের দেবতা থথ (Thoth) লিপি আবিষ্কার করছে, কোথাও আছে যুদ্ধের দেবতা হোরাস ফারাওকে সাহায্য করতে নেমে আসছে। এমনকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেবতা হোরাস এবং সেট-এর দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধের উল্লেখও পাওয়া যায়। এই পিরামিড লিপি থেকেই মৃতদের রাজা মহাদেবতা ওসিরিসের নাম প্রথম জানতে পারেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাচীন মিসরীয় বিশ্বাসে রা, ওসিরিস, আইসিস, হোরাস, সেট, নেপথিস এবং থথ এরাই ছিল ভাগ্য দেবতা।
নক্ষত্র কালপুরুষের সঙ্গে একই সারিতে রেখে বানানো হয়েছিল গিজার তিনটি পিরামিড। কেউ যদি তিনটি পিরামিডের শীর্ষকে একই সরলরেখায় রেখে আকাশের দিকে তাকায় তাহলে ঐ সারিতেই দেখতে পাবে কালপুরুষকে। নির্মাণকালে মিসরীয় পিরামিডগুলোর দেয়াল পালিশ করা চুনাপাথর দিয়ে ঢাকা ছিল। সূর্যোদয়ের পরে প্রথম সূর্যের আলো পিরামিডের গায়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি চকচক করে উঠত। বহুদূর থেকে হীরার দ্যুতি ছড়াত এক একটি পিরামিড।
প্রাথমিকভাবে মনে হতে পারে পিরামিডের চারটি ধার থাকে। কিন্তু গিজার পিরামিডের ধার রয়েছে আটটি। প্রতিটি ধার শীর্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। ১৯৪০ সালে একজন পাইলট পি গ্রোভস মিসরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় প্রথম খেয়াল করেন এই আট ধার থাকার ব্যাপারটি। কেবল উপযুক্ত আলোয় তা দেখা যায়।
শ্রমিক
প্রচলিত আছে পিরামিড বানাতে দাসদের ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে মজুরির বিনিময়েই পিরামিড বানানোর শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পিরামিডের মতো বিশাল স্থাপত্য নির্মাণে যুক্ত ছিলেন বলে পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্ত থেকে আসা শ্রমিকদের ভীষণ সম্মান করা হতো সেই সময়ে। ২০১০ সালে পিরামিড শ্রমিকদের একটি সমাধি খুঁজে পাওয়ার মাধ্যমে এই তথ্য উন্মোচিত হয়। শ্রমিকদের মৃতদেহ বালুর মধ্যে সংরক্ষণ করা ছিল। মজার বিষয় হলো মৃত্যুর পরের জীবনের জন্য তাদের মৃতদেহের সঙ্গে দেওয়া হয়েছিল বিয়ার ও রুটি। এক একটি পিরামিড নির্মাণে ঠিক কতজন শ্রমিক নিয়োগ পেয়েছিলেন তার সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। পাথরের ভারী টুকরোগুলো সরাতে কতজন লোক লেগেছিল তা নিয়েও মতভেদ রয়েছে। কিন্তু বাইরের মূল কাঠামো তৈরিতে প্রায় ৬০ হাজার লোক ও ভেতরের কাঠামো তৈরিতে ৩০ হাজার লোক লেগেছিল বলে ধারণা ইতিহাসবিদদের। বেশিরভাগ পিরামিডেরই প্রায় একই সময়ে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। গিজার পিরামিড নির্মাণকালে মোট সময় লেগেছিল ২৩ বছর।
বিশ্বের প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
মরুভূমিতে সকাল ও রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য থাকে অনেক বেশি। বেলা বাড়লেই তীব্র গরম ও রাতে শীত পড়ে। অসাধারণ এই পুরাকীর্তি সম্বন্ধে জানা যায় সবসময় পিরামিডের ভেতরে তাপমাত্রা স্থির থাকত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের প্রাকৃতিক এই ব্যবস্থা এখনো পর্যন্ত অবাক করছে মানুষকে।
বিশেষ রকম দরজা
পিরামিডে দেখা মেলে এক বিশেষ রকমের ঘুরন্ত দরজার। যার একটি অংশ ঘুরলেও অন্য অংশ ঘোরে না। গিজার পিরামিডে এমন ধরনের মোট তিনটি দরজা আছে। তার মধ্যে একটি দরজার ওজন প্রায় ২০ টন। দরজাগুলো এত ভালোভাবে বানানো হয়েছিল যে এক হাত দিয়েই ঐ বিশাল দরজা খোলা যায়। এই দরজা বন্ধ থাকলে বাইরে থেকে কেউ বুঝতেই পারবে না যে এখানে কোনো দরজা রয়েছে। আগে থেকে এ বিষয়ে কিছু না জানা থাকলে বরং সেখানে একটি দেয়াল বলে ভ্রম হবে সবার।
সমতল ছাদের পিরামিড
কেবল তীক্ষ্ম শীর্ষের পিরামিডই নয়, মিসরে কিছু পিরামিডের ক্ষেত্রে দেখা যায় শীর্ষে সমান উপরিভাগও (ঋষধঃ ঃড়ঢ়) রয়েছে। একেবারে শুরুর দিকে বহু পিরামিড বানানো হয়েছে এই সমান উপরিভাগ বা ফ্ল্যাট টপ নিয়ে। ৪৭০০ বছর আগে প্রথম পিরামিড তৈরি হয় মিসরীয়দের হাতে। সেই সময়ে মিসরীয়দের মধ্যে ত্রিভুজাকৃতির পিরামিড তৈরির ধারণাই প্রচলিত ছিল না। মিসরীয় সম্রাট জোজারের সমাধিতে এই সমতল ছাদের দেখা মেলে। যা দেখে প্রত্মতত্ত্ববিদদের স্থির ধারণা হয়েছে সর্বপ্রথম বানানো পিরামিডের ছাদ সমতলই ছিল। পিরামিডের অভ্যন্তরে নিম্ন পদবির লোকেদের সমাধি তৈরি করা হতো আলাদা ধরনের স্থাপত্য। যার নাম মাসতাবা। ইতিহাসবিদেরা ধারণা করেন এই মাস্টাবাসগুলো বানানো হয়েছে যাতে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে এই নিম্ন পদবির লোকেরা রাজার সেবা করতে পারে।
ওজন
খুফুর পিরামিডের ওজন ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টন। যেখানে বর্তমানের সুউচ্চ দালানের ভেতরে উল্লেখযোগ্য বুর্জ খলিফার ওজন ৫ লাখ টন। ধারণা করা হয় ২.৩ মিলিয়ন পাথরের বিশাল বিশাল টুকরো দিয়ে পিরামিড বানানো হয়েছে। যেখানে প্রতিটি পাথরের টুকরোর ওজন প্রায় ২.৫ টনের মতো। ১২ শতকে সালাদিন পুত্র ও কুর্দির শাসক রাজা আল আজিজ এক পরিকল্পনায় পিরামিড ধ্বংসের পরিকল্পনা করেন। মেনকরি পিরামিডের বিরুদ্ধে তিনি আক্রমণ চালান। কিন্তু বিশালাকৃতির এই স্থাপত্য ধ্বংসযজ্ঞে তিনি ব্যর্থ হন। সম্ভবত ওজন ও স্থাপত্যকৌশলের দুর্দান্ত সম্মিলনের জন্যই পিরামিডের বিরুদ্ধে এই ধ্বংসযজ্ঞ সফল হয়ে ওঠেনি।
পিরামিডের পাহারাদার
৪৫০০ বছর আগে পিরামিডের পাশে বিশালাকৃতির স্ফিংসের প্রতিমূর্তি বানানো হয়েছে। সিংহের মতো দেহ ও ফারাও খাফ্রার মুখের আদলে স্ফিংসের মুখমণ্ডল নিয়ে তৈরি করা হয়েছে তার প্রতিকৃতি। তৎকালীন বিশ্বাস অনুযায়ী পিরামিডকে পাহারা দিতে স্ফিংসের মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকা স্ফিংস ২৪১ ফুট দৈর্ঘ্য নিয়ে এখনো সদর্পে পাহারা দিয়ে চলছে পিরামিডকে।
সঙ্গে দেওয়া হতো সোনা
প্রাচীন মিসরীয়রা বিশ্বাস করত মানুষের বসবাসের জন্য পৃথিবীর সর্বোৎকৃষ্ট জায়গা হচ্ছে মিশর। মৃত্যুর পরে মিসরের মতো জায়গাতেই তারা বসবাস করবেন। কিন্তু মৃত্যু পরবর্তী জীবনে কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। মৃতদেহের সঙ্গে তারা জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র দিয়ে দিত। কোনো রাজার মৃত্যু হলে তার সঙ্গে সোনাদানাও দিয়ে দেওয়া হতো। পরে উদ্ধার অভিযানে মিসর কর্র্তৃপক্ষ এই সোনাদানা বেশিরভাগই উদ্ধার ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়।
সৌরঘড়ি
এ পর্যন্ত যত ধরনের সৌরঘড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে তার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হলো পিরামিড। সূর্য মধ্যগগনে থাকলে গিজার পিরামিডের কোনো ছায়া পড়ে না।