সফল হতে চাইলেই তো আর সফল হওয়া যায় না। তবে সফল হতে গেলে যেটা সবার আগে প্রয়োজন। তা হলো মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। পরিস্থিতি যেসব সময় আপনার অনুকূল হবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যেকোনো নতুন কাজ করা উচিত। তবে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন। তবে ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের মনের জোর বাড়াতে চেষ্টা করুন। এবার দেখে নিন কীভাবে নিজের মনের জোর বাড়িয়ে সফলতাকে আপনার সঙ্গী করবেন..
১. নিজের প্রতি দুঃখিত না হওয়া :- নিজের প্রতি কখনোই দুঃখিত বোধ করবেন না। নিজেকে আহারে, বলার কোনও দরকার নেই এতে আপনার সময়ই নষ্ট হবে। আখেরে আপনার কোনো লাভ হবে না। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। কাজে দেবে।
২. লক্ষ্যে স্থির হওয়া:- আপনার পাশে যদি কেউ না দাঁড়ায় তাহলে ভয় পাবেন না। নিজেই নিজের সব থেকে বড় লাঠি হয়ে দাঁড়ান। যদি কেউ আপনার সঙ্গে চলতে না চায় তাহলে একলাই চলুন। সাফল্য পাওয়ার পর কারোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে না।
৩. পরিবর্তনকে ভয় না পাওয়া:- আপনার রোজকার জীবনে যদি কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে ভয় পাবেন না। জানবেন, সব পরিবর্তন আপনার প্রতি এক একটা চ্যালেঞ্জ। তাই ভয় না পেয়ে পরিবর্তনকে আপন করে নিন।
৪. পছন্দ না হওয়া কাজ না করা:- ধরুন এমন কাজ যা আপনার ঠিক পছন্দ নয়। তাই আপনি ঠিক পারবেন না। এমনকি আপনার মনে কাজের প্রতি অতটা কনফিডেন্ট নেই। তখন সেই কাজ না করাই ভালো। যে কাজ আপনি মন থেকে ভালোবাসেন সেই কাজ করুন।
৫. অন্যের কথার গুরুত্ব না দেওয়া:- কে কী বলল তাতে আপনার কী! কারোর কথায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিন। নিজের জীবন কীভাবে কাটাবেন, কী কাজ করে ভালো থাকবেন, তা একান্ত আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে কখনোই দেবেন না।
৬. ভাগ্যকে দোষারোপ না করা:- কী হয়নি তা নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করার দরকার নেই। কী হতে পারে, সেই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন। তাতে আপনার সময়ও বাঁচবে এবং নিজের মনোবলও বাড়বে।
৭. একই ভুল বারবার না করা:- একই ভুল বারবার করার কোনও মানেই হয় না। বারবার একই ভুল করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই একই ভুল বারবার না করে ধীরে সুস্থে কাজ করুন।
৮. অন্যের খুশিতে খুশি হওয়া:- অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। দেখবেন আপনার সাফল্যতে এবং খারাপ সময় অনেকের সঙ্গ পাবেন। তবে যদি অন্যের খুশিতে খুশি না হন, তাহলে আপনি ভেঙে পড়বেন।
৯. প্রথমবার সফল হতে না পেরে ভেঙে পড়া:- সফল হতে চাইলেই তো আর সফল হওয়া যায় না। তবে সফল হতে গেলে যেটা সবার আগে প্রয়োজন। তা হলো মানসিকভাবে শক্ত হওয়া। পরিস্থিতি যেসব সময় আপনার অনুকূল হবে তা কিন্তু নয়। পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূলেও যেতে পারে, এটা অবশ্যই মাথায় রাখা দরকার। সেই কথা মাথায় রেখেই যেকোনো নতুন কাজ করা উচিত। তবে মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য নিজের মনকেই সবার আগে স্থির করতে হবে। কিন্তু অনেকেই মনের জোড় না বাড়িয়ে নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করতে থাকেন।
তবে ভাগ্যকে দোষারোপ না করে নিজের মনের জোর বাড়াতে চেষ্টা করুন। এবার দেখে নিন কীভাবে নিজের মনের জোর বাড়িয়ে সফলতাকে আপনার সঙ্গী করবেন…
১. নিজের প্রতি দুঃখিত না হওয়া:- নিজের প্রতি কখনোই দুঃখিত বোধ করবেন না। নিজেকে আহারে, বলার কোনও দরকার নেই এতে আপনার সময়ই নষ্ট হবে। আখেরে আপনার কোনো লাভ হবে না। সেখান থেকে উঠে দাঁড়ান। কাজে দেবে।
২. লক্ষ্যে স্থির হওয়া:- আপনার পাশে যদি কেউ না দাঁড়ায় তাহলে ভয় পাবেন না। নিজেই নিজের সব থেকে বড় লাঠি হয়ে দাঁড়ান। যদি কেউ আপনার সঙ্গে চলতে না চায় তাহলে একলাই চলুন। সাফল্য পাওয়ার পর কারোর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে হবে না।
৩. পরিবর্তনকে ভয় না পাওয়া:- আপনার রোজকার জীবনে যদি কোনও পরিবর্তন ঘটে তাহলে ভয় পাবেন না। জানবেন, সব পরিবর্তন আপনার প্রতি এক একটা চ্যালেঞ্জ। তাই ভয় না পেয়ে পরিবর্তনকে আপন করে নিন।
৪. পছন্দ না হওয়া কাজ না করা:- ধরুন এমন কাজ যা আপনার ঠিক পছন্দ নয়। তাই আপনি ঠিক পারবেন না। এমনকি আপনার মনে কাজের প্রতি অতটা কনফিডেন্ট নেই। তখন সেই কাজ না করাই ভালো। যে কাজ আপনি মন থেকে ভালোবাসেন সেই কাজ করুন।
৫. অন্যের কথার গুরুত্ব না দেওয়া:- কে কী বলল তাতে আপনার কী! কারোর কথায় গুরুত্ব দেওয়া ছেড়ে দিন। নিজের জীবন কীভাবে কাটাবেন, কী কাজ করে ভালো থাকবেন, তা একান্ত আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব অন্য কারোর হাতে কখনোই দেবেন না।
৬. ভাগ্যকে দোষারোপ না করা:- কী হয়নি তা নিয়ে বেশি ভাবনা-চিন্তা করার দরকার নেই। কী হতে পারে, সেই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন। তাতে আপনার সময়ও বাঁচবে এবং নিজের মনোবলও বাড়বে।
৭. একই ভুল বারবার না করা:- একই ভুল বারবার করার কোনও মানেই হয় না। বারবার একই ভুল করতে থাকলে আস্তে আস্তে নিজের মনোবল ভেঙে যাবে। তাই একই ভুল বারবার না করে ধীরে সুস্থে কাজ করুন।
৮. অন্যের খুশিতে খুশি হওয়া:- অন্যের খুশিতে খুশি হওয়ার চেষ্টা করুন। মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। দেখবেন আপনার সাফল্যতে এবং খারাপ সময় অনেকের সঙ্গ পাবেন। তবে যদি অন্যের খুশিতে খুশি না হন, তাহলে আপনি ভেঙে পড়বেন।
৯. প্রথমবার সফল হতে না পেরে ভেঙে পড়া:- যদি প্রথমবার সফল হতে না পারেন, তাহলে আবার চেষ্টা করুন। দেখুন, চেষ্টা না করলে কেউই কখনও সফল হতে পারে না। তাই প্রথমবার যদি কোনোভাবে সফল হতে না পারেন, তাহলে ভেঙে না পড়ে, শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান।
১০. একাকীত্বকে ভয় না পাওয়া:- আপনার সঙ্গে কেউ না থাকলেও একাকীত্বকে ভয় পাবেন না। যদি খারাপ সময় কেউ আপনার পাশে দাঁড়াতে না চায় তাহলে ক্ষতি কী। একাই পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন। দেখবেন, এতে আপনার মন যেভাবে শক্ত হবে তা কখনোই ভাঙা যাবে না।
১১. ধীর স্থিরভাবে কাজ করা:- যখন পরিস্থিতি আপনার অনুকূল না হবে, তখন ধীর স্থিরভাবে কাজ করুন। তাড়াহুড়ো করে কাজ করলে কিছুই হবে না। অনেক ভুল হয়ে যাবে। তাই পরিস্থিতি আপনার প্রতিকূল হলে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন।
১২. কাজের পর নিজেকে জাহির না করা:- আপনি আপনার লক্ষ্যে স্থির থাকুন। যাতে কেউ না আপনাকে লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে পারে। সফল হওয়ার পর নিজেকে জাহির করবেন না। কারণ, নিজের ঢাক নিজে না পেটানোই ভালো। এতটা আপনার নিজের পক্ষেও খুব একটা ভালো হবে না।
বাংলা মাত্রই ভোজন পিয়াসী মানুষের বসবাস । আর ভোজন থাকবে কিন্তু সেই ভোজনে মিষ্টি থাকবেনা তা তো কোনভাবেই সম্ভব নয়। বাঙালির খাদ্য আহারের তালিকায় মিষ্টি এমন একটা অনবদ্য আহার যেটা ছাড়া পুরো খাবারের প্যাকেজটাই অসম্পূর্ণ। আর এই মিষ্টি ভালোবাসা না এমন মানুষ বোধহয় বিরল । কারণ মিষ্টি মাত্রই করা পাকের শুধু চিনি নির্যাস নয়। হালকা মিষ্টি কম মিষ্টি সবরকম স্বাদের মিষ্টি আমাদের এই বাংলায় বিদ্যমান । এখন গল্পটা ঠিক অন্য জায়গায় মিষ্টি মাত্রই আবার কোনো রকম হলেই হল সেটা কিন্তু একেবারেই না কারণ পশ্চিমবাংলায় বিভিন্ন জায়গায় স্পেশাল মিষ্টির জন্য বিখ্যাত।
১) কলকাতার বাগবাজারের রসগোল্লা: রসগোল্লা বাংলা তথা বাঙালীর সবথেকে প্রিয় মিষ্টি। রসগোল্লা অর্থাৎ রসের গোল্লা, দুধের ছানা দিয়ে তৈরি সাদা রঙের এক ধরনের রসের মিষ্টি। এটিতে সাধারনত চিনি রস ব্যবহার করা হয় কিন্তু শীতের মরসুমে নলেন গুড়ের তৈরি রসগোল্লাও যথেষ্ট বিখ্যাত। ছানা পাকিয়ে গরম রসে ডুবিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয়। কলকাতার বাগবাজারের নবীন চন্দ্র দাস ১৮৮৬ সালে প্রথম নরম তুলতুলে স্পঞ্জ রসগোল্লার সৃষ্টি করেন। তাকে রসগোল্লার কলম্বাস বলা হয়। যদিও এই রসগোল্লা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও প্রতিবেশী ওড়িশার বিরোধ বহু দিনের। ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রসগোল্লার জিআই ট্যাগ লাভ করে। রাজ্যের সব জেলার সব দোকানেই কম বেশি রসগোল্লা পাওয়া গেলেও বাগবাজারের স্পঞ্জ রসগোল্লার স্বাদই আলাদা। আর সেই কারনেই এটি জনপ্রিয়।
২) বর্ধমানের সীতাভোগ: বর্ধমানের সীতাভোগ বাংলার এক সুপ্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন। এটা অনেকটা বাসমতী চালের ভাতের মত দেখতে হয়। সীতাভোগের প্রধান উপাদান সীতাসের প্রজাতির গোবিন্দভোগ চাল। এই চাল গুঁড়ো করে তাতে ১:৪ অনুপাতে ছানা মিশিয়ে পরিমাণমত দুধ দিয়ে মাখা হয়।তারপর একটি ছিদ্রযুক্ত পিতলের পাত্র থেকে উক্ত মিশ্রণকে গরম চিনির রসে ফেলা হয়। এর ফলে সীতাভোগ বাসমতীর চালের ভাতের মত দেখতে লম্বা সরু সরু দানাযুক্ত হয়। এর সাথে ছোট ছোট গোলাপজাম এবং কখনো কখনো কাজুবাদাম ও কিশমিশ মিশিয়ে পরিবেশন করা হয়।
১৯০৪ সালে বড়লাট জর্জ ন্যাথানিয়েল কার্জন বর্ধমানের জমিদার বিজয়চাঁদ মহতাবকে মহারাজা খেতাব দিতে বর্ধমান ভ্রমণ করেন। কার্জনের বর্ধমান আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিজয়চাঁদ মহতাব বর্ধমানের জনৈক মিষ্টি প্রস্তুতকারক ভৈরবচন্দ্র নাগকে একটি বিশেষ মিষ্টি প্রস্তুত করতে বলেন। ভৈরবচন্দ্র নাগ সীতাভোগ ও বর্ধমানের অপর বিখ্যাত মিষ্টান্ন মিহিদানা তৈরী করেন।
মিহিদানার প্রধান উপাদান চাল। মিহিদানা প্রস্তুতিতে সাধারণত গোবিন্দভোগ, কামিনীভোগ অথবা বাসমতী চাল ব্যবহার করা হয়। চাল গুঁড়ো করে তার সাথে বেসন এবং জাফরান মেশানো হয়। তারপর জল মিশিয়ে ঈষৎ পীতাভ একটি থকথকে মিশ্রণ তৈরী করা হয়। একটি ছিদ্রযুক্ত পেতলের পাত্র থেকে
উক্ত মিশ্রণ কড়াইতে ফুটন্ত গাওয়া ঘিতে ফেলা হয়। তারপর দানাগুলি কড়া করে ভেজে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তুলে চিনির রসে রাখা হয়।
৩) বর্ধমানের মনোকরের কদমা: কদমা একটি শুকনো মিষ্টি বিশেষ। বাংলায় অনেক পুরনো মিষ্টির মধ্যে কদমা, বাতাসা, নকুলদানা অন্যতম। রসগোল্লা, পান্তুয়ার আবির্ভাবের পূর্বে বাংলায় অতিথি আপ্যায়নে কদমা বাতাসা দেওয়াই রীতি ছিল। এখন আর এই মিষ্টির আগের কৌলীন্যতা নেই। কেবল পূজার কাজে এখনও বহুল ব্যাবহৃত হয় কদমা। বর্তমান পূর্ব বর্ধমানের মানকর এই কদমার জন্য বিখ্যাত।
৪) জয়নগরের মোয়া: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর শহর এই মিষ্টান্নটির জন্য খুব বিখ্যাত। জয়নগরের মোয়ার প্রধান উপাদান কনকচূড় ধানের খই, নলেন গুড়(খেজুর গুড়) ও গাওয়া ঘি। এছাড়াও ক্ষীর, পেস্তা, কাজুবাদাম, কিসমিস দিয়ে তৈরী হয় এই অতি জনপ্রিয় মিষ্টান্ন। জয়নগর শহরের পূর্ণচন্দ্র ঘোষ ওরফে বুঁচকিবাবু এবং নিত্যগোপাল সরকারকে জয়নগরের মোয়ার বাণিজ্যিক বিপণনের পথিকৃৎ বলে ধরা হয়। মূলত শীতের মরসুমে এই মিষ্টি পাওয়া যায়।
৫) নবদ্বীপের লাল দই: নদিয়ার নবদ্বীপের লাল দই বা ক্ষীর দই বা চাক্কু দই বা মিষ্টি দই বাংলার অন্যতম প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন। দই বা দধি মিষ্টান্ন পরিবারের কুলীন সদস্য। দই সাধারনত সাদা হলেও লাল দই একটি স্বতন্ত্র উপাদেয় মিষ্টান্ন। এই দই তৈরির সময় ভাজা লাল চিনি দেওয়া হয় যা থেকে এর রং লালচে ও স্বাদে মিষ্টি হয়। ১৯৩০ সালের দিকে নবদ্বীপের জনৈক কালিপদ মোদক, মতান্তরে কালী ঘোষ, এই দই প্রথম প্রস্তুত করেন। ১৫০ বছরেরও প্রাচীন পাঁচুর মিষ্টির দোকান ‘লক্ষ্মী নারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার’ অন্যতম বিখ্যাত লাল দইয়ের দোকান। দই তৈরি করার পর দশদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়।
৬) চন্দননগরের জলভরা: হুগলী জেলার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো যেমন বিখ্যাত, তেমনই বিখ্যাত এখানকার জলভরা সন্দেশ। জলভরা সন্দেশ তালশাঁস আকৃতির কড়াপাকের এক বিশেষ সন্দেশ। হুগলি জেলার সূর্যকুমার মোদক এই মিষ্টির আবিষ্কর্তা। শহরের সব দোকানেই জলভরা সন্দেশ পাওয়া যায়। স্বাদে কমবেশি সকলেই সমান। কিন্তু নামে সবার উপরে ‘সূর্য মোদক’-এর জলভরা।
এই সন্দেশ বানানোর মূল উপাদান ছানা, চিনি, গোলাপজল ও নলেন গুড়। সূর্য মোদকের দোকানে গোলাপজল আসে নিয়ম মেনে কনৌজ থেকে। কিছুটা সন্দেশ প্রথমে ছাঁচের মধ্যে দিয়ে আঙুলের চাপে একটা গর্ত করে নেওয়া হয়। সেই গর্তে গোলাপজল ঢেলে আবার সন্দেশ দিয়ে বাকিটা ঢেকে ছাঁচের মুখ বন্ধ করে দিতে হয়। এভাবেই জলভরা সন্দেশ তৈরী করা হয়।
৭) বাঁকুড়া বিষ্নুপুরের মোতিচুরের লাড্ডু’: লাড্ডু শব্দটি সংস্কৃত শব্দ ‘লাড্ডুকা’ বা ‘লাত্তিকা’ থেকে এসেছে যার অর্থ ‘ছোট বল’। আর হিন্দিতে ‘মতি’ শব্দের অর্থ ‘মুক্তা’। ‘চুর’ অর্থ ‘ভাঙা’ বা ‘চূর্ন-বিচুর্ন’ করা। অর্থাৎ ‘মতিচুর’ মানে ‘মুক্তার ভাঙা গুঁড়া’। ছোট ছোট মুক্তা দানার মতো বুন্দিয়া বানিয়ে সেগুলোকে একসাথে হাতে চেপে তৈরি হয় মতিচুরের লাড্ডু। আর এইজন্যই এমন চমৎকার নামের উৎপত্তি। মতিচুরের লাড্ডু ভারত উপমহাদেশের একটি প্রাচীন মিষ্টি। এর বয়স দু’হাজার বছরেরও বেশি। মনে করা হয়, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে বিহারে এই মিষ্টির উৎপত্তি হয়। তবে বাংলার বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের মতিচুরের লাড্ডু বেশ বিখ্যাত।
৮) ক্যানিং – র লেডিকেনি: লেডিকেনি বা লেডি কেনি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জনপ্রিয় ভারতীয় মিষ্টি। এটি একটি হালকা ভাজা লালচে-বাদামী গোলাকার মিষ্টি যা ছানা এবং ময়দা দিয়ে তৈরি এবং চিনির তরল রসের মধ্যে ভেজানো থাকে। ১৮৫৬-৬২ সালের মধ্যে ভারতে গভর্নর-জেনারেল চার্লস ক্যানিংয়ের স্ত্রী লেডি ক্যানিংয়ের নামে নামকরণ করা হয় মিষ্টির এবং সকলের কাছে মিষ্টিটি লেডিকেনি নামে পরিচিত হয়।
৯) বর্ধমানের প্যারা: প্যারা সন্দেশের ইতিহাস শত বছরের পুরানো। প্রথমে শুধু দেব-দেবীর আরাধনায় মিষ্টান্নর প্রয়োজন এই উদ্দেশ্যেই সন্দেশ তৈরি করা হতো। পরবর্তীতে সর্বসাধারণের জনপ্রিয় মিষ্টান্নে পরিণত হয়েছে। মহেন্দ্রী দাস নামের এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম বাংলাদেশের নওগাঁ জেলায় তৈরি করা শুরু করেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছাতনার প্যাড়া বেশ প্রসিদ্ধ।
কথায় বলে ভোরের প্রকৃতি নিদারুণ সুন্দর । নিদারুণ রোমাঞ্চকর । এটা যে কতটা সত্যি যে না দেখেছে এর অভাবনীয় সৌন্দর্যকে যে না অনুভব করেছে সে ছাড়া আর কেউই বুঝতে পারবে না । কিন্তু ভোরের প্রকৃতি সৌন্দর্যের যে সমস্ত সীমা অতিক্রম করতে পারে তা কিন্তু একেবারেই নয়। আজ হঠাৎই সকাল সকাল কাজের ফাঁকে ব্যালকনিতে যেতেই আকাশের চোখ বোলানো নীল আর পেজা তুলের মত মেঘগুলো নতুন করে আমার মনকে প্রেমের টানে বাধলো। নেহাতই কাজের ফাঁকে বেলকনিতে যাওয়া পড়েছিল না হলে হয়তো আজকের এই প্রকৃতির প্রেমের অনুভূতি মিথ্যে হয়ে যেত । দূরের আকাশে পেজা তুলোর মতো মেঘগুলো আকাশের এধার থেকে ওধারে যেন সূর্য মামার সাথে লুকোচুরি খেলছে । দূরের আকাশ এত গভীর সুন্দর আজকের আকাশের নিদারুণ সৌন্দর্য না দেখলে অনুভব হতো না। সঙ্গে খুব সুন্দর একটা ঠান্ডা বাতাস। ওই স্নিগ্ধ বাতাস যেন কোন তরতাজা প্রাণের সংকেত বয়ে এনেছে । সকল অভিমান খুব রাগ যেন সবকিছুকে নিমিষে মুছে ফেলার ক্ষমতা রাখে সে।
আমার ব্যালকনি গা ঘেসানো কতগুলো সারি সারি আম- কাঁঠাল-পেয়ারা-তালগাছ। ওই গাছগুলি সবুজ রংটা বোধহয় পুরো প্রকৃতির সৌন্দর্যকে ৫ গুন বাড়িয়ে তুলেছে। অদ্ভুত সবুজ রংটা যা পজিটিভ বার্তা নিয়ে আসে ইদানিং জানিনা কেন সবুজ রং দেখতে খুব ভালো লাগে। এতো গেলো প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য। এরই মধ্যে আবার অনবরত কোকিলার চড়াই থেকে শুরু করে না জানি আর কত পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ সঙ্গে আবার ছোট্ট ছোট কাঠবিড়ালিগুলোর পেয়ারা খাবার তোরজোড় । ওদের দেখে আমি নিজেই বোকার মত হাসছি। কি যে মিষ্টি লাগছে দেখতে মনে হচ্ছে আদরই করে ফেলি। ধীরে ধীরে আমিও বেমালুম নস্টালজিক হয়ে পড়েছি। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ডায়েরীতে লিখতে লিখতে পা ধরে যাওয়ার পরিস্থিতি । কফিটা এনেছিলাম খাব বলে কিন্তু ঠান্ডাই হয়ে গেল । ঘড়িতে দশটার কাঁটা পার হয়ে গেছে, আমার পেইন কিন্তু চলছে। আর ঠোঁটে মিচকে মিচকি হাসি । আসলে প্রকৃতির সৌন্দর্য বেমালুম ভুলিয়ে দিয়েছে সকল কিছুকে পেছনে ফেলে আসতে।
ইমিউনিটি হল শরীরের প্রহরী। এক্ষেত্রে ইমিউনিটি ভালো থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারলে অনেক সমস্যারই সমাধান হওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে সাইট্রাস জাতীয় ফল, হলুদ সহ অন্যান্য খাবার ইমিউনিটি বাড়াতে পারে। ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি এক কাজ। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। আসলে আমাদের পরিবেশের চারিদিকে জীবাণুর বাস। তবে এরপরও আমাদের রোগ হয় না সবসময়। এবার এই রোগ না হওয়ার কারণ অবশ্যই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আসলে কোনও জীবাণু শরীরে আক্রমণ চালালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রথমে নিজের কাজটি করে। এক্ষেত্রে ওই জীবাণুর বিরুদ্ধে নিজের মতো করে লড়াই শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে জীবাণুর বিরুদ্ধে সহজে জিতে যায় শরীর। এবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে আপনার শরীর খারাপ হয়ে যায়। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে জোর দিতে হবে। এবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই ইমিউনিটি (Immunity) বেশি থাকার অনেক কারণ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়েটের ভূমিকাও রয়েছে অনেকটাই। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই সময়টায় সতর্ক হয়ে যেতে হবে। তবেই সমস্যার করা যেতে পারে সমাধান। এক্ষেত্রে ইমিউনিটি বাড়াতে চাইলে এই কয়েকটি খাবার রাখুন খাবারের তালিকায় (Food to Boost Immunity)। আসুন জানা যাক-
১) হলুদ: হলুদ পারে আপনার সমস্যা দূর করতে। কারণ হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন নামক একটি পদার্থ। এই পদার্থ পারে ইমিউনিটি বাড়াতে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়গুলি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
২) সাইট্রাস ফল: আসলে এতদিনে নিশ্চয়ই সকলেই জেনে গিয়েছেন যে সাইট্রাস জাতীয় ফল আপনার শরীর ভালো রাখতে পারে। এক্ষেত্রে সাইট্রাস ফল নিয়মিত খেতে শুরু করলে বাড়ে ইমিউনিটি। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই দিকটি নজরে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে লেবু, আমলকী ইত্যাদি ফলে ভালো পরিমাণে সাইট্রাস রয়েছে।
৩) আদা: আদা আপনার শরীর ভালো রাখার কাজে দারুণ কার্যকরী। আসলে আদার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। এই কারণে আদা কিন্তু ইমিউনিটি বাড়াতে পারে। তাই আদা রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায়।
৪) Dry Fruits: বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটসে রয়েছে ভালো পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন। এবার নিয়মিত এই খাবার খেতে শুরু করলে শরীরে সমস্যা দেখা দেওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে এই খাবার খান।